৳ ৫০ ৳ ৪৫
|
১০% ছাড়
|
Quantity |
|
তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩ অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি
১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩) এখন ৬০% ছাড়ে
এক সময় এ দেশের বেশিরভাগ এলাকা ছিল নিম্ন জলাভূমি। ডাঙ্গায় বুনাে পশুর উপদ্রব। আক্রমণের আতঙ্ক। এদের হাত থেকে নিরাপদে থাকার জন্যে এদেশের আদিবাসী বেদে গােষ্ঠীর লােকেরা নৌকোয় বসবাস করতাে।
এদেশের প্রথম চাষাবাদের প্রচলন করে আদি অস্ট্রেলীয় লােকেরা। জমি কর্ষণ করার জন্যে ব্যবহার করতাে কাঠের লাঙ্গল। ধান ছিল প্রধান খাবার। নদ নদী আর বৃষ্টির পানির জন্যে এখানে ধানের ফলন হতাে ভালাে। অষ্ট্রিকভাষী লােকেরা বেগুন, কলা, লেবু, লাউ, পান, নারকেল, কামরাঙ্গা, ডুমুর, সুপুরি, হলুদ ডালিমের চাষ করতাে। তুলাে থেকে তৈরি করতাে কাপড়। এই গােষ্ঠীর কয়েকটি অরণ্যচারী শাখা ছিল। এরা পশু শিকার করতাে। ডিঙ্গি আর ভেলায় চেপে নদী পারাপার করতাে।
নরসিংদী জেলার বেলাবাে উপজেলার ওয়ারী ও বটেশ্বর নামের লাল মাটির দুটি উঁচু পাহাড়ি গ্রামের মাটির নিচ থেকে বেশ কয়েকটি প্রত্ন নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলাের মধ্যে রয়েছে পাথরের গােল মসৃণ গুটিকা যা ব্যবহার করা হতাে ধনুকে। পােড়ামাটির জিনিশ। আকরিক লােহার তৈরি তিন কোণা হস্তকুঠার। টুকরাে পাথরের ধারালাে হাতিয়ার। কালাে রঙের পালিশ করা মাটির পাত্রের টুকরাে।
সাড়ে তিন হাজার বছর আগের নতুন পাথরের যুগের মানুষের ব্যবহৃত অস্ত্র পাওয়া গেছে ওয়ারী বটেশ্বরে।
নরসিংদি শহরের পশ্চিম দিকে বাগদি নামক স্থানে আট হাত মাটির নিচ থেকে কালাে রঙের মাটির পাত্র পাওয়া গেছে। এসব পাত্র খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর তৈরি। ওয়ারী বটেশ্বর গ্রামে পাওয়া নিদর্শনগুলাে বাংলাদেশের উল্লেখযােগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষর। এভাবে প্রাচীন বাঙলাদেশের অম্বেষণে, শেকড় খোজার জন্যে এক অঞ্চল। থেকে অন্য অঞ্চলে পরিভ্রমণ করেছি। এই বােধ থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাঙলাদেশের কথা সিরিজের। আগামী প্রকাশনীর ওসমান গনি সাগ্রহে এই সিরিজ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলেন। এই। সিরিজের চতুর্থ বই স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।
আলী ইমাম
Title | : | স্মৃতি দিয়ে ঘেরা |
Author | : | আলী ইমাম |
Publisher | : | আগামী প্রকাশনী |
ISBN | : | 9844016150 |
Edition | : | 2001 |
Number of Pages | : | 24 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
আলী ইমাম বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। তিনি ৩১ ডিসেম্বর ১৯৫০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আলী ইমাম তার শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের সোনালি দিনগুলো ঢাকায় কাটিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প-কবিতা-ছড়া-উপন্যাস -প্রবন্ধ-নিবন্ধ-জীবনী সাহিত্য লিখে থাকেন। বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কজন লেখক কল্পবিজ্ঞানের চর্চা করছেন আলী ইমাম তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। রহস্য-রোমাঞ্চগল্প এবং অ্যাডভেঞ্চার লেখার ক্ষেত্রেও তিনি সুদক্ষ। তাছাড়া তিনি বিজ্ঞানের নানা জানা-অজানা তথ্য নিয়ে শিশু-কিশোরদের জন্য অবিরাম লিখে চলছেন। রূপকথা, হাসির গল্প, ভূতের গল্প, গোয়েন্দা কাহিনী, শিশুতোষ ফ্যান্টাসি, লোমহর্ষক গল্প ইত্যাদি রচনায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার। বর্তমানে তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। শিশু সাহিত্য ও শিশু সংগঠনের সঙ্গে তিনি শৈশব থেকেই সম্পৃক্ত। প্রচুর অনুষ্ঠান করেছেন বেতার এবং টেলিভিশনে। তিনি বাংলাদেশের কজন অগ্রগণ্য সংগঠক এবং সুবক্তাও বটে। একজন বিতার্কিক হিসেবে তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। এ যাবত তিনি তাঁর সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য যে সমস্ত পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইকো সাহিত্য পুরস্কার, জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ স্বর্ণপদক, নওয়াব সলিমুল্লাহ পদক, নব কুঁড়ি পদক, সমাজকল্যাণ-কর্মী সংঘ পুরস্কার, জসীমউদ্দীন স্মৃতি সংসদ পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, ছোটদের কাগজ শিশুসাহিত্য পুরস্কার।
If you found any incorrect information please report us